স্পোর্টস ডেস্ক:: পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই পরাজয়ে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই ২-০তে সিরিজ খোয়ালো স্বাগতিকরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ও ১১ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এই হারে ২০২১ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। মোস্তাফিজের অফস্টাম্পের বাইরের বল ভেতরে টেনে বোল্ড হন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম ম্যাচেও প্রায় একই রকম ভাবে আউট হন তিনি। ৫ বলে ১ রান করেন টি-টোয়েন্টির নম্বর ওয়ান ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রিজওয়ান-জামান মিলে ৮৫ রানের জুটি গড়লে দলকে সহজ জয়ের দিকেই নিয়ে যান তারা। তবে শেষ পর্যন্ত খেলে যেতে পারেননি রিজওয়ান। টাইগার লেগ স্পিনার আমিনুলের করা বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৩৯ রান।
এরপর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা ফখর জামান। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করার পর অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। ৫১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ২টি চার এবং ৩টি ছয়ে সাজানো। এদিকে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন হায়দার আলি। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আমিনুল ও মোস্তাফিজ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের পঞ্চম বলে শাহিন আফ্রিদির ডেলিভারিতে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হন সাইফ হাসান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১ রান করা সাইফ এবার গোল্ডেন ডাক হন।
দ্বিতীয় ওভারে পেসার ওয়াসিমকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান নাঈম। বল ফিল্ডারের সামনে পড়ে। কিন্তু ওভারের শেষ বলে একইভাবে খেলতে গিয়ে স্লিপে ফখর জামানকে ক্যাচ দেন নাঈম। ৮ বলে ২ রান করে ফেরেন তিনি।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দুরন্ত ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ব্যক্তিগত স্কোরটা টেনে বড় করতে পারলেন না তরুণ এ অলরাউন্ডার। ২০ রান করে শাদাব খানের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে কাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিদায় করে দিয়েছেন হারিস রউফ। টাইগার ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
দাপুটে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। তবে ফিফটি ছুঁতে পারেননি এ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৪০ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন শাদাব খান। তিন রান করে ফিরেছেন মেহেদী হাসান। শেষদিকে আমিনুল-তাসকিন মিলে শেষ বল পর্যন্ত খেলে ১০৮ রানে থামে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং সাদাব খান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন দুজন বোলার।
বাংলাদেশ একাদশ:
নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ:
বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, হায়দার আলি, শোয়েব মালিক, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এবিএ/২০ নভেম্বের